দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কিছু কথা – মোঃ:মাহবুব হাসান

দেশের চলমান পরিস্থিতি দেখলে মনে হয় এ’যেনো এক রহস্যময় ভয়ংকর কোন গল্পের বয়াবহ খন্ড চিত্র।সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হিংস্রতা নির্মমতা হত্যা। ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলা সিনেমার কাল্পনিক গল্পে পদর্শিত নির্মম ছুরিকাঘাত জনসম্মুখে গুলি করে মারার মতো দৃশ্যায়ন গুলো।
নারী ও শিশু নির্যাতন সহ সকল অপরাধ অপকর্মগুলো সীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশ এখন মৃত্যুপুরী। সবুজ শ্যামল স্বাধীন দেশে বসবাসরত মানুষের ঘুম ভাঙ্গে এখন মৃত্যু সংবাদে।
স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা, হাসপাতাল বাস ট্রেন কোথাও নিরাপদ নয় আজকের নারী সমাজ।বলতে লজ্জা করে তবুও বলতে হয় নিজের ঘর আপন বাবার কাছেও হচ্ছে ধর্ষণের শিকার, এবং কি বাজারের পাগলিটাও হচ্ছে মা।
কেন হচ্ছে? কারা করছে? এর জন্য দায়ী কে?
চলুন এবার আলোচনা করা যাক প্রতিকার এবং দায়বদ্ধতা নিয়ে।
যদি আপনার ধারণা হয় এই বিশৃঙ্খল পরিবেশ এর জন্য একমাত্র সরকার দায়ী। তাহলে আমি বলবো ভুল!
ভুল বলার অনেকগুলো কারণ রয়েছে অন্তত দু’একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।
যে দেশের আদালতে বিচার কার্যক্রম চলাকালীন খুন হয়।
একজন ধর্ষকের পক্ষে উকালতি করে একজন নারী।
প্রকাশ্যে খুন হচ্ছে দেখেও নিবোর্ধের মতো প্রতিবাদ না করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করায় ব্যস্ত থাকে যে দেশের নাগরিক বিবেক জাগ্রত হয় না। বিবেকবোধের কতটা অধঃপতন হলে স্বার্থের কাছে বিক্রি হয় আইন শাষণ বিচার বিভাগ। এবং কি সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা যাদের উপর ভরসা করি সাধারণ জনগণ। তারাই হচ্ছেন বর্তমাম ডিজিটাল শিক্ষিত কসাই।
চলমান অপরাধ অপকর্মের সাথে জড়িত পত্যেকেই কিন্তু এদেশের নাগরিক। পত্যেকটা অপরাধীরও কিন্তু রয়েছে পরিবার দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। উচ্চতর সকল ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তারাও এ দেশেরই নাগরিক। তাহলে উনাদের দায়বদ্ধতা আজ কোথায়? দুএকজন অপরাধী ধরা পড়লেও মিথ্যা বলার জন্য অসংখ্য উকিল অপরাধীর পক্ষে হাজির। শিক্ষার উচ্চতায় দাঁড়িয়ে কেন তারা সততা বিলিয়ে দিচ্ছেন। দেশ ও সমাজের প্রতি উনাদের দায়বদ্ধতা নেই? উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে যারা সমাজব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছেন।জনগণ এর নিরাপত্তা ও দেশ রক্ষায় নিয়জিত রয়েছেন। সততার সাথে কয়জন দায়িত্ব পালন করছেন, উনাদের দায়বদ্ধতা সততা এখন স্বার্থের বেড়াজালে বন্দী।
মূল কথা এ দেশের শিকড়ে পচন ধরে গেছে, এদেশের গুণীর সংখ্যা বিলুপ্ত হচ্ছে।
আমরা ভুলে গেছি এই বাংলার মাটিতে ঘুমিয়ে আছে ত্রিশ লক্ষ শহীদ সেনা। যারা দেশের জন্য ভাষার জন্য সিনা টান করে বুকের তাজা রক্ত জড়িয়ে দেখিয়ে গেছে কিভাবে প্রতিবাদ প্রতিহত করতে হয়। এই দেশের জন্য দুই লক্ষ মা বোন অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। বিবেক জাগ্রত করে একটু ভাবলেই কেপে উঠে বুক।কতটা ত্যাগের বিনিময়ে হয়েছি আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।শহীদের রক্ত লেপটে থাকা বাংলার মাটি এখন চিৎকার করে।
স্বাধীনতার ছাঁয়াতলে থেকেও আমরা যেমন নিরাপত্তাহীন ঠিক তেমনি স্বাধীন দেশের সাহসী নেতা যোদ্ধা শহীদি শৈনিকদের ইতিহাস পড়েও। আমরা আজ অশিক্ষিত বিবেকহীন চেতনাহীন প্রাণহীন বোবা কাঠের পুতুল।
পরিশেষে বলবো দেশ পরিচালনা কারীদের পাশাপাশি আমাদের মধ্যেও দেশপ্রেম মানবপ্রেম বিবেকবোধ জাগ্রত রাখতে হবে। থাকতে হবে প্রতিবাদ করার মতো সৎ সাহস।এবং নিজেকে বদলাতে হবে।নিজেকে বদলাতে না পারলে সমাজ কখনই বদলাবেনা।সমাজও পরিবেশ না বদলালে দেশ বদলাবেনা।বাংলাদেশ কে যদি একটি একটা বাগানের সাথে তুলনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ সহ আপনি আমি আমরা পত্যেকেই সেই বাগানের এক একটি ফুল।
চারিত্রিক সুবাস ছড়িয়ে চাইলে আমরাই পারি শান্তিপূর্ণ একটি বাংলাদেশ গড়তে।শান্তি সুখের শীতল হাওয়ায় গা ভাসিয়ে পারি গাইতে আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
Amader Nangalkot'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। আমাদের নাঙ্গলকোট পত্রিকা তথ্য মন্ত্রনালয়ের তালিকাভক্তি নং- ১০৫।
- Copyright © Amader Nangalkot All Rights Reserved-2010-2019.
- সম্পাদক বাপ্পি মজুমদার ইউনুস কর্তৃক প্লট নং-২২১/১৬, ব্লক-বি, কুমিল্লা-৩৫০০ থেকে প্রকাশিত।
- সম্পাদক ও প্রকাশক:- বাপ্পি মজুমদার ইউনুস
- নির্বাহী সম্পাদক:- ফারুক আল শারাহ্
- বার্তা সম্পাদক:- খন্দকার আলমগীর হোসাইন
- ব্যবস্থপনা সম্পাদক:- ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী মিলন
- উপ- সম্পাদক:- আজিম উল্লাহ হানিফ
- উপ-সম্পাদক- মুকুল মজুমদার
- সাহিত্য সম্পাদক- মো: তাজুল ইসলাম
- আইন উপদেষ্টা
- ব্যারিস্টার মিয়া মোহাম্মদ কামরুজ্জামান- সুপ্রিম কোর্ট
- এ্যাডভোকেট হামিদুল হক ভূঁইয়া- জজ কোর্ট- কুমিল্লা
- এ্যাডভোকেট মোস্তফা জামান জসিম- জজ কোর্ট- কুমিল্লা
- •••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
- নিউজ রুম- 01930 10 62 63
- ই-মেইল- dailyamadernangalkot@gmail.com

পাঠকের মন্তব্য: