ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট লকডাউন ইস্যু

করোনার প্রভাবে বর্তমানে দেশের অধিকাংশ ব্যাংকই বন্ধ! আংশিক সেবা বন্ধের তালিকায় সবার পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছে-
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ।
ইসলামী ব্যাংকের ব্রাঞ্চ গুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ দিলেও তাদের অধীনস্থ এজেন্টদের খোলা রাখায় দিয়েছে স্বাধীনতা!কোথাও কোথাও বাধ্যতামূলক করার তথ্যও আছে।
এজেন্টের অধীনে আমরা যারা কর্মী হিসাবে কাজ করছি, অতীতে আমাদের কাছে এই ব্যাংকের ইমেইজ,কমপ্লায়েন্স বড় করেই তুলে ধরা হয়েছিল।অথচ আজ ব্যাংক তার এই কমপ্লায়েন্স শুধুই তার ব্রাঞ্চের জন্যই বলবত রাখলো!এজেন্টের কর্মীদের অবস্থা গার্মেন্টস শ্রমিকদের মতই বলা চলে।
আমাদের বেতন/প্রমোশন/আনুসাঙ্গিক সুবিধা-অসুবিধার কথা কর্তৃপক্ষের কাউকে আজ পর্যন্ত খবর নিতেও দেখলাম না!এখানে দক্ষতার যেমন কোন মূল্যায়ন নেই তেমনি চাকরির কোন নিশ্চয়তাও নেই!আর এই মহামারীতে কর্মী ছাঁটাই করার সুযোগ অবাধ!থাকবেই না কেন?এজেন্টের যা আয় তাতে তার পক্ষে লোকসানের উপর লোকসান তো দিয়ে যাওয়াও সম্ভব নয়?
এজেন্টদের মাধ্যমে ব্যাংক যেভাবে তার ডিপোজিট/একাউন্ট/রেমিটেন্স এবং ব্যাংকিং ইমেইজ সমৃদ্ধ করছে এর কৃতিত্ব কি শুধুই ব্যাংকের ব্রান্ড ইমেইজ আর এজেন্টদের লগ্নিকৃত অর্থ?
যারা এই ব্রান্ড ইমেইজ কে খাঁটিয়ে আমাদের মত তরুণদের নিজেদের পক্ষে খাঁটাচ্ছেন আপনাদের কি মনে হয় না আমাদেরও ভূমিকা আছে কিছু?তাহলে আমাদের নিয়ে কি এই মহামারীতেও আপনাদের ভাবার সুযোগটি নেই?সেবার নামে আমাদের পথে নামাবেন বেশ, আমাদের ঝুঁকির মুখে ফেলবেন বেশ, তাহলে আপনারা কেন লেজ গুটাচ্ছেন?
আমাদের পদে পদেই তো আপনাদের এ্যাপ্রুভ নামক দয়ার উপর নির্ভর থাকতে হয়! তাহলে আপনারা কি নিজেদের নিরাপওা নিশ্চিত করে আমাদের বিপদে ঠেলে দিচ্ছেন না?আপনারা কি আমাদের মাস্ক/গ্লাবস/পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবারহ নিশ্চিত করেছেন?আমাদের যাতায়াত খরচ বেড়েছে, পথে মার খাওয়ার ভয় বেড়েছে। এসব নিয়ে কি একবারও ভেবেছেন?
জাতির এই কঠিন সময়ে সামনে থেকে সেবা দেয়ার সৎ সাহস আর মানসিকতা আমাদেরও আছে।আমরাও চাই মানুষ বিপদে আমাদের বন্ধু হিসাবে কাছে পাক। তাই বলে পিতা-মাতাহীন (কর্তৃপক্ষ) কারো কি অন্যের বন্ধুত্বের সুযোগ আছে?
বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাক্তারী পেশার পরেই ঝুঁকির মুখে ব্যাংকারগণ।অথচ সরকার/ব্যাংক/কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন কর্তৃপক্ষই আমাদের নিয়ে প্রণোদনা তো দূরের কথা ক্ষতিপূরণের কথাটিও মুখ থেকে বের করলো না!
আমাদের(এজেন্ট ব্যাংকাদের) আয় কম।তারউপর পথে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।কারো সাথে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হয়েই যায় তাহলে আমাদের এই ক্ষতির দায় কে নিবে?
এজেন্ট?
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক?
কেন্দ্রীয় ব্যাংক?
সরকার? নিবেটা কে?
আমাদের দেশের বেকার যুবকদের কাজে লাগানোর নামে ঝুঁকির মুখে বা দারিদ্র্যের মুখে ফেলবেন না।আমাদের প্রতি মানবিক হউন, আমাদের সার্ভিস কে তরান্বিত করতে এজেন্টের কর্মীদের জন্য আলাদা নীতিমালা করুন। সেবার নামে প্রহসন বন্ধ করুন।যারা সেবা দিবে তাদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করুন।
লিখকঃ
আফছার উদ্দিন ভূঁইয়া।
Amader Nangalkot'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। আমাদের নাঙ্গলকোট পত্রিকা তথ্য মন্ত্রনালয়ের তালিকাভক্তি নং- ১০৫।
- Copyright © Amader Nangalkot All Rights Reserved-2010-2019.
- সম্পাদক বাপ্পি মজুমদার ইউনুস কর্তৃক প্লট নং-২২১/১৬, ব্লক-বি, কুমিল্লা-৩৫০০ থেকে প্রকাশিত।
- সম্পাদক ও প্রকাশক:- বাপ্পি মজুমদার ইউনুস
- নির্বাহী সম্পাদক:- ফারুক আল শারাহ্
- বার্তা সম্পাদক:- খন্দকার আলমগীর হোসাইন
- ব্যবস্থপনা সম্পাদক:- ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী মিলন
- উপ- সম্পাদক:- আজিম উল্লাহ হানিফ
- উপ-সম্পাদক- মুকুল মজুমদার
- সাহিত্য সম্পাদক- মো: তাজুল ইসলাম
- আইন উপদেষ্টা
- ব্যারিস্টার মিয়া মোহাম্মদ কামরুজ্জামান- সুপ্রিম কোর্ট
- এ্যাডভোকেট হামিদুল হক ভূঁইয়া- জজ কোর্ট- কুমিল্লা
- এ্যাডভোকেট মোস্তফা জামান জসিম- জজ কোর্ট- কুমিল্লা
- •••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
- নিউজ রুম- 01930 10 62 63
- ই-মেইল- dailyamadernangalkot@gmail.com

পাঠকের মন্তব্য: